তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের মতো লজ্জা জনক ঘটনার পর ওয়ানার এবং স্মিথকে ছাড়াই জোহানেসবার্গে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামে বিতর্কের বেড়াজালে ধুকতে থাকা অস্ট্রেলিয়া। এদিকে আগের তিন টেস্টের মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি অজিরা জয়ী হলেও পরবতী দুটি টেস্ট জিতে সিরিজ জিতার লক্ষে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ খেলতে নাশে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা।
অপরদিকে শেষ টেস্ট ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনার সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার সামনে। কিন্তু চতুর্থ দিন যে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের ৬১২ রানের পাহাড়সম টার্গেট দিল। আর এই উচ্চতায় উঠতে না পারা নতুন অধিনায়ক টিম পেইনের দল লজ্জাই পেল। ৪৯২ রানে হেরে ৩–১ ব্যবধানে সিরিজ খোয়াল অজিরা।
এদিকে অজিদের ইতিহাসে এটি চতুর্থ বড় হারের রেকর্ড। আর সেই সাথে ১৯৩৪ সালের পর এতো বাজে ভাবে হেরেছে দলটি।
অপরদিকে স্মিথ–ওয়ার্নার ছাড়া সফরকারী অজিরা ভালো করবে না সেটা অনেকটা জানাই ছিল। যেখানে চতুর্থ দিনই ৮৮ রানের ৩ উইকেট হারিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। আর শেষ দিন তো ভারনন ফিল্যান্ডার ঝড়ে দাঁড়াতে পারলো না অজিরা। বাকি ৭ উইকেটে যোগ হলো মাত্র ৩১ রান। মানে ১১৯ রানেই দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি।
আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব এদিন ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফিল্যান্ডারের বলে বোল্ড হন। পরে দলের হয়ে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে নিজেদের স্কোর নিতে পারেননি।
১৩ ওভারে ৫ মেডেনসহ ২১ রানে ৬টি উইকেট তুলে নিয়েছেন ডানহাতি পেসার ফিল্যান্ডার। দুটি উইকেট পান ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলা মরনে মরকেল। আর একটি উইকেট পান কেশব মাহারাজ।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফিল্যান্ডার। আর পুরো সিরিজে অসাধারণ বোলিং করা কাগিসো রাবাদা সিরিজ সেরার পুরস্কার হাতে তোলেন।
সক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা– ৪৮৮ ও ৩৪৪/৬ ডিক্লেয়ার
অস্ট্রেলিয়া– ২২১ ও ১১৯ (৪৬.৪ ওভার) ফিলিন্ডার ৬ উইকেট।
ফলাফল: সাউথ আফ্রিকা ৪৯২ রানে জয়ী এবং সেই সাথে ৩-১ ব্যাবধানে সিরিজ বিজয়ী।